BYEI Neo 25 Theme BG

NEO কী?

ন্যাশনাল আর্থ অলিম্পিয়াড বা NEO একটি শিক্ষা আন্দোলন যা পৃথিবী ও পরিবেশ বিজ্ঞানকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূলধারায় নিয়ে আসতে চায়। এই অলিম্পিয়াডের লক্ষ্য হল ভবিষ্যত প্রজন্মের বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক ও অন্যান্য পেশাজীবিদেরকে শেখানো, অনুপ্রাণিত করা এবং তাদের মাঝে সমন্বয় স্থাপন করা যেন তাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তৈরি হয় একটি ন্যায়ানুগ ও টেকসই বিশ্ব।

নিবন্ধন ও প্রাথমিক পর্ব

(TBA)

কারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন?

অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং সমমানের প্রাইভেট প্রার্থীদের জন্য এই প্রতিযোগিতা। যদি কোনো এইচএসসি পরীক্ষার্থী এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে থাকে, তবে সেও অংশ নিতে পারবে।

প্রতিপাদ্য বিষয়

সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পুনর্জন্ম: গণঅভ্যূত্থান থেকে পুনর্গঠন

২০২৪ সালের জুলাই বিদ্রোহের পর বাংলাদেশ আবারও এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে দেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে তরুণ প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যে বাংলাদেশ ২.০-এর স্বপ্ন আমরা দেখছি, পরিবেশগত উন্নয়ন ছাড়া কি সেই নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব?

কেন অংশগ্রহণ করবেন?

NEO ২০২৫ এর সময়সূচী

নিবন্ধন ও প্রাথমিক পর্ব

৮ মার্চ - ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

এই অনলাইন পর্বে ২০ টি MCQ থাকবে এবং কমপক্ষে ১০টি MCQ এর সঠিক উত্তর দিতে হবে। সঠিক উত্তর স্কোর না করা পর্যন্ত, ২৫ এপ্রিল এর মধ্যে যতবার প্রয়োজন ততবার পরীক্ষাটি দেয়া যাবে।

বিভাগীয় পর্ব

২৬ এপ্রিল, ২০২৫

বিভাগীয় পর্বে ৪০-৫০টি MCQ থাকবে এবং পরীক্ষাটি অনলাইনে হবে। পরীক্ষার সময় ১ ঘন্টা।

গ্রিন ডে ট্রেনিং

১-৩১ মে, ২০২৫

GDT একটি দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা। যেখানে প্রতিযোগীদেরকে পরিবেশ বিষয়ক সমস্যাগুলোর সাথে পরিচিত করা হবে।

জাতীয় পর্ব

৬ জুন, ২০২৫

বিভাগীয় পর্বে উত্তীর্ণদের নিয়ে জাতীয় পর্বের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ জাতীয় দল এর জন্য সেরা ৩০ জন কে বাছাই করা হবে। জাতীয় পর্ব অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় দল বাছাই পরীক্ষা

২০ জুন, ২০২৫

জাতীয় পর্বের সেরা ৩০ জন এই পরীক্ষায় অংশ নেবে। ইন্টারন্যাশনাল আর্থ সায়েন্স অলিম্পিয়াডে (IESO) অংশগ্রহণের জন্য সেরা ৬ জনকে নিয়ে হবে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প।

১৯ তম ইন্টারন্যাশনাল আর্থ সায়েন্স অলিম্পিয়াড

৭- ১৭ আগস্ট, ২০২৫

৬ সদস্যের বাংলাদেশ জাতীয় দল সুযোগ পাবে চায়নাতে ১৯ তম ইন্টারন্যাশনাল আর্থ সায়েন্স অলিম্পিয়াডে (IESO) বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার।

পাঠ সহায়িকা

পরীক্ষাগুলোতে ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় ধারণা পেতে নিচের লিঙ্কগুলোতে থাকা পাঠ সংগ্রহগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে

জিজ্ঞাসা

NEO তে কারা অংশগ্রহণ করতে পারবে?

অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী বা সমমানের যেকোন শিক্ষার্থী। যদি কেউ এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে থাকে তবে সে-ও NEO-তে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

IESO তে কারা অংশগ্রহণ করতে পারে?

আন্তর্জাতিক আর্থ সায়েন্স অলিম্পিয়াডে (IESO) অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে, তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী আগের আসরে পদক জয়ী কেউ IESO-তে অংশ নিতে পারবে না। প্রতিযোগীদের বয়স IESO অনুষ্ঠিত হবার বছরের ১ জুলাই-এ অনূর্ধ ১৯ বছরের নিচে হতে হবে।

প্রাইভেট পরীক্ষার্থী, SSC/HSC, O/A লেভেলের পরীক্ষার্থীরা কি অংশগ্রহণ করতে পারবে?

হ্যাঁ, তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে। রেজিস্ট্রেশনের চলাকালীন সময়, SSC/HSC পরীক্ষার্থী যারা কিনা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়) নথিভুক্ত নয়, তারা যে প্রতিষ্ঠান (স্কুল/কলেজ) থেকে সম্প্রতি পাশ করেছে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করবে। O/A লেভেলের এবং প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের জায়গায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম বা পাঠ্যক্রমের নাম ব্যবহার করতে হবে (যেমন: ব্রিটিশ কাউন্সিল, এডেক্সেল প্রাইভেট ক্যান্ডিডেট, ইত্যাদি)।

কী ধরণের প্রস্তুতি নিতে হবে?

প্রাথমিক ও বিভাগীয় পর্বের প্রশ্নগুলি বেশিরভাগই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আর্থ সাইন্স এবং পরিবেশ সম্পৃক্ত বিষয়াবলীর উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। আর জাতীয় পর্বের প্রশ্নগুলো আর্থ সাইন্সের এই মৌলিক বিষয়গুলোকেই আরো গভীরভাবে স্পর্শ করবে। নতুনদের জন্য, “হাই স্কুল আর্থ সায়েন্স” বই, বা NCTB-এর ৯ম – ১০ম শ্রেণীর ভূগোল পাঠ্যবই থেকে প্রাথমিক ধারণা নেয়া যেতে পারে, তবে আমাদের পাঠ তালিকায় আরো বই রয়েছে। যথাযথ প্রস্তুতির জন্য আমাদের সিলেবাস এবং প্রস্তুতির নির্দেশনাটি ভালোভাবে অনুসরণ করতে হবে।

NEO এর প্রশ্নপত্র কোন ভাষাতে থাকবে?

প্রশ্নপত্র বাংলা এবং ইংরেজি দুইটি ভাষাতেই তৈরি করা হয়েছে।

গ্রীন ডে ট্রেনিং (GDT) কী?

বিভাগীয় পর্বে উত্তীর্ণদেরকে নিয়ে এটি একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা। কর্মশালাটিতে ইন্টারেক্টিভ গেম, পাজল, সিমুলেশন ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে শেখানো হবে। এটি একইসাথে তরুণ প্রজন্মকে তাদের নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশ এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবেশগত সমস্যাগুলি মোকাবেলায় কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে। কর্মশালাটি বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত তরুণদের একটি দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।

IESO কী?

IESO বা আন্তর্জাতিক আর্থ সায়েন্স অলিম্পিয়াড মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বার্ষিক প্রতিযোগিতা। এর বয়স সীমা সর্বোচ্চ ১৯ বছর। মূলত এই প্রতিযোগিতায় ভূতত্ত্ব, আবহাওয়াবিদ্যা, জলবিদ্যা, গ্রহ-নক্ষত্র এবং পরিবেশ বিজ্ঞান সহ আর্থ সায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর উপরে প্রতিযোগীদের দক্ষতা যাচাই করা হয়। IESO পরীক্ষা মূলত হয় ইংরেজিতে। তবে আঞ্চলিক প্রতিনিধিরা প্রতিযোগীদের সুবিধার্থে নিজেদের ভাষায় লিখিত পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট উপকরণ অনুবাদ করতে পারে। NEO এর জাতীয় পর্বে উত্তীর্ণ সেরা প্রতিযোগীদেরকে বাছাই করে তৈরি হয় IESO তে অংশ নেবার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দল।

প্রতিযোগীরা কি সনদ পাবে?

প্রতিটি বিভাগের শীর্ষস্থান অধিকারীরা GDT-তে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। যারা সফলভাবে GDT সম্পূর্ণ করবে তাদের জন্য রয়েছে পুরষ্কার ও সনদ। পরবর্তীতে জাতীয় পর্বে সেরা ৩০জন বিজয়ীর জন্যে রয়েছে পুরষ্কার ও সনদ।

জাতীয় পর্ব থেকে IESO-এর জন্য প্রতিনিধিদের কীভাবে নির্বাচিত করা হয়?

জাতীয় পর্বের ঠিক পরেই হয় বাংলাদেশ জাতীয় দলের বাছাই প্রক্রিয়া। অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে কিছু লিখিত পরীক্ষা এবং কয়েকটি দলীয় মূল্যায়ন পরীক্ষার মাধ্যমে এই বাছাই হয়। মূল্যায়নের আগে প্রতিযোগীদের জন্য থাকবে কিছু প্রশিক্ষণ ও পাঠচক্র; যার বেশিরভাগই হবে অনলাইনে।

আয়োজক

বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভ (BYEI) বাংলাদেশী তারুণ্যের ক্ষমতায়ন ও শিখনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, সচেতনতা, সক্ষমতা এবং অনুপ্রেরণা নিয়ে নতুন প্রজন্মের প্ল্যানেটারি স্টুয়ার্ডরা আরও ন্যায্য এবং টেকসই বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে পারবে।

কৌশলগত ও গবেষণা সহযোগী

Department of Geology, University of Dhaka

Department of Environmental Science and Management, Independent University, Bangladesh

Bangladesh Geological Society

প্রচারণা সহযোগী